পুষ্টিগুনে ভরপুর সবজি ফুলকপি,শীতকাল হল এই সবজিটি উৎপাদনের মূল সময়কাল।যদিও বর্তমানে ফুলকপি সারা বছর পাওয়া যায়।তবে,স্বাদের কথা বিবেচনা করলে শীতকালের ফুলকপি স্বাদে উৎকৃষ্ট।এ দেশের প্রায় সর্বত্র ফুলকপির চাষ হয়। বা কারি ও স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়।
উপকারিতা : আমাদের শরীরে রক্ত তৈরিতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণত গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশু এবং কিশোরী এবং যারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের জন্য ফুলকপি খুবই উপকারী সবজি। ফুলকপির ভিটামিন এ, সি শীতকালীন নানা রোগ যেমন : সর্দি, কাশি, জ্বর ও টনসিলের সমস্যা সমাধানে বিশেষ সাহায্য করে।
সতর্কতা : ফুলকপি রান্নার সময় টুকরো টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে বা ধুয়ে নেবেন না। এতে ফুলকপির খাদ্য উপাদান পানির সাথে মিশে চলে যায়। ফুলকপি কেটে ফ্রিজে বা অন্য কোনো স্থানে খোলা অবস্থায় ফেলে রাখবেন না। কিডনি রোগে যারা ভুগছেন তারা ফুলকপি না খাওয়াই ভালো। কারণ ফুলকপিতে থাকা উদ্ভিজ আমিষ দুর্বল কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। যারা গলার থাইরয়েড গ্রন্থির রোগে ভুগছেন তারা ফুলকপি খাবেন না।